পিংকি পাগল প্রেমিক |
mad lover love life |
ভালবাসি লিখতে আমি পিংকি কে নিয়ে গান
পিংকি আমার হৃদয় স্পন্দন পিংকি আমার প্রাণ
পিংকির কথায় কলম আমার কবিতার সৃষ্টি করে
গিটারও আমার সুর ভুল করে পিংকির কণ্ঠসরে
মনে মনে আখি শুধুই পিংকির আমি ছবি
পিংকির মতোই উজ্জ্বল এই সুপ্রভাতের রবি
চন্দ্রসম লাগে আমার পিংকির মুখখানি
পিংকির নয়ন তারাই আছে অমর প্রেমের বাণী
ঝরনাসম সুন্দর ওই পিংকির অশ্রুধারা
শাড়ি পরে এলোচুলে পিংকি ধ্রুবতারা
পিংকি আমার চোখের মণি পিংকি এক মায়া
যেদিকে তাকাই দেখি শুধুই পিংকির আমি ছায়া
আরো বেশি সুন্দর পিংকির এলোচুলের হওয়া
পিংকির হাসিতে আছে এক ভুবন ভোলানো মায়া
চোখ বুজলেই দেখি শুধুই পিংকির গোলাপী গাল
এই ভাবেই দেখতে চাই জীবনের প্রতিটি সাল
সুন্দর পুষ্প স্পর্শ করলে ভলেনা যেমন কেহ
গোলাপ ফুলও পিংকির স্পর্শে হারাই নিজ দেহ
জাদু দিয়ে ভরা ওই পিংকির হাতের স্পর্শ
পিংকির চরণ যুগলের কাছে পুরনো নতুন বর্ষ
পিংকির পায়ের নূপুরে আছে কোকিল কন্ঠি সুর
পিংকির হৃদয়ের গভীরতা সমুদ্রের চেয়েই দূর
অনেক ফুলই পড়েছে জানি পিংকির রূপে মারা
আমিও তাদের মতোই একজন প্রেমিক আত্বহারা
কপালে তার লাল টিপেতে লাগে নববধূ
কর্ণ ঝুমকো পিংকি যেন মিষ্টি মৌ এর মধূ
সর্ণভরা নাকচাবিতে পিংকি আর এক জাদু
মৃত্যু বরণ করবে পিংকির রূপ দেখে শত সাধু
তাল মেলাতে পারবোনা হয়তো পিংকির রূপের সাথে
না পারলেও জীবন কাটাব পিংকির অপেক্ষাতে
প্রেমে ব্যাথা পাওয়ার পর প্রেমিকরা কবিতে পরিণত হলে কি কবিতা লিখতে পারে দেখেনিন
পিংকি আমার হৃদয় স্পন্দন পিংকি আমার প্রাণ
পিংকির কথায় কলম আমার কবিতার সৃষ্টি করে
গিটারও আমার সুর ভুল করে পিংকির কণ্ঠসরে
মনে মনে আখি শুধুই পিংকির আমি ছবি
পিংকির মতোই উজ্জ্বল এই সুপ্রভাতের রবি
চন্দ্রসম লাগে আমার পিংকির মুখখানি
পিংকির নয়ন তারাই আছে অমর প্রেমের বাণী
ঝরনাসম সুন্দর ওই পিংকির অশ্রুধারা
শাড়ি পরে এলোচুলে পিংকি ধ্রুবতারা
পিংকি আমার চোখের মণি পিংকি এক মায়া
যেদিকে তাকাই দেখি শুধুই পিংকির আমি ছায়া
আরো বেশি সুন্দর পিংকির এলোচুলের হওয়া
পিংকির হাসিতে আছে এক ভুবন ভোলানো মায়া
চোখ বুজলেই দেখি শুধুই পিংকির গোলাপী গাল
এই ভাবেই দেখতে চাই জীবনের প্রতিটি সাল
সুন্দর পুষ্প স্পর্শ করলে ভলেনা যেমন কেহ
গোলাপ ফুলও পিংকির স্পর্শে হারাই নিজ দেহ
জাদু দিয়ে ভরা ওই পিংকির হাতের স্পর্শ
পিংকির চরণ যুগলের কাছে পুরনো নতুন বর্ষ
পিংকির পায়ের নূপুরে আছে কোকিল কন্ঠি সুর
পিংকির হৃদয়ের গভীরতা সমুদ্রের চেয়েই দূর
অনেক ফুলই পড়েছে জানি পিংকির রূপে মারা
আমিও তাদের মতোই একজন প্রেমিক আত্বহারা
কপালে তার লাল টিপেতে লাগে নববধূ
কর্ণ ঝুমকো পিংকি যেন মিষ্টি মৌ এর মধূ
সর্ণভরা নাকচাবিতে পিংকি আর এক জাদু
মৃত্যু বরণ করবে পিংকির রূপ দেখে শত সাধু
তাল মেলাতে পারবোনা হয়তো পিংকির রূপের সাথে
না পারলেও জীবন কাটাব পিংকির অপেক্ষাতে
প্রেমে ব্যাথা পাওয়ার পর প্রেমিকরা কবিতে পরিণত হলে কি কবিতা লিখতে পারে দেখেনিন
বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে প্রেম
Best friend |
আমি তখন ক্লাস ইলেভেন এ পরি। টিউশন পরতে গিয়ে আমার একটি মেয়ের সাথে আপাল হয়। যদিও মেয়েটি খুব সুন্দরী ছিলনা, তবুও কেনো জানি তাকে আমার খুব ভালো লাগতো। আমি কোনদিনই কোনো মেয়েকে তার রূপ বা গুণ দিয়ে বিচার করিনা। সময়ের সাথে সাথে তার সাথে আমার ভালো বন্ধু হয়ে যায়। আসতে আসতে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। তার রূপের গুনের বাহার ছিলনা। ছিল শুধু একটা সুন্দর মন আর আমি তো সবসময়ই বিশ্বাস করি ভালোবাসা মানে খুব সুন্দরী হওয়াটা জরুরি নয়।
ভালোবাসা মানে বিশেষ কোনো গুন থাকা নয়। ভালোবাসা মানে তো মনের সাথে মনের মিলন। ভালোবাসা মানে শুধু দুটি শরীরের নয়। ভালোবাসা মানে আত্তার সাথে পরমাত্মার মিলন।
তারপর থেকে আমি তার পাশেই বসতাম। তার নাম ছিল সুচন্দ্রা বা গানের সুরে বলা যায় সে প্রথম প্রেম আমার সূচন্দ্রা। সে খোলো চুলেই পরতে আসতো, তার এলো চুল যখন আমার শরীর স্পর্শ করত মনে হতো তার এলো চুলে আছে কি সুন্দর এক হাওয়া। আর হাসিতে তার ছিল যেনো এক ভুবন ভোলানো মায়া।
তার সাথে বন্ধুত্বটা আরও গভীর হয়। তারপর আমারা একে অপরের ফোন নম্বর নিয়ে কথা বলতে থাকি। তার সাথে কথা বললে কিভাবে যে সমস্ত সময় পার হয়ে যেত জানিনা। তারপর তো একটা সময় এমন আসে আমি পরতেই যেতাম সুচন্দ্রার জন্য। পড়তে আসার আগে ওকে আমি ফোন করে বলে দিতাম ওর পাশের বাসার জায়গা যেনো শুধু আমার জন্য খালি থাকে। ওর পাশে এসে বসটাম, ওর সাথে অনেক গল্পো করতাম। ওকে আমি শুধু "তেরে লিয়ে হি জিয়া খুদকো যো ইউ দে দিয়া হে" গানটা গাইতাম।
আমি গাড়ি নিয়ে পড়তে আসতাম আর ও সাইকেল নিয়ে পড়তে আসতো। পড়ার শেষে আমি ওর সাথে কথা বলতে বলতে ওর বাড়ির আগে পর্যন্ত যেতাম। আমার খুব মনে পরে ওর ফোনে রিংটোন ছিল "টু আটা হে সাইন মে যাব যাব আহে ভারটা হু"।
কেনো জানিনা মনে হতো ও আমার জন্যই ওই গানটা রিংটোন করে রেখেছিল।হয়তবা সত্যিই ও আমার জন্য গানটা রিংটোন করে রেখেছিল। আমি প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় ছাদের উপর দাড়িয়ে ওর সাথে ফোনে কথা বলতাম।
আমার তখন একটা আইডিয়ার সিম ছিল যেটাতে তখন অফার চলতো ২৬ টাকায় ২৬ টাকা ফুল টকটাইম। তখন প্রেমের নেশাই অন্ধ হতে আমি এতটাই বোকা হয়ে গিয়েছিলাম যে, প্রতিদিন ২৬ টাকা রিচার্জ করতাম। আর যতক্ষণ না ২৬ টাকা শেষ হতো আমাদের কথা শেষ হতনা। ২৬ টাকা শেষ কথা শেষ।
আমার নাম প্রীতম আর ও আমাকে ভালোবেসে পি বলে ডাকতো। ও আমাকে বারবার করে বলতো পি তুই ফোন প্রমো মারিস না কেনো। তখন আমি ওকে বলতাম প্রমো মারলে আমি ভুলে যাবো, যে আমি ভুলে আমি তোর সঙ্গে প্রতিদিন ২৬ টাকার কথা বলতাম।
আজ যে আমি এত কবিতা লিখি, গান লিখি সব ওরই কারণে। ওর যখনই আমার সামনে আসতো, যখনই ওর সাথে ফোনে কথা বলতাম ওর নাম নিয়ে বা ওকে কল্পনা করে নানা শব্দ ছন্দের মিশ্রণে আমার মনে কবিতার সৃষ্টি হতো। বিশেষ করে যখন আমি একা থাকতাম ওকে নিয়ে নানান কবিতা, গান লিখতেই থাকতাম। এখনও ওকে নিয়ে আমার মনে এত ছন্দ কথা আছে যে, তাতে হয়তো শুধু একটা ওয়েবসাইট ওর নামে খুললে আমি লিখে শেষ করতে পারবোনা।
তবে ওর সাথে যখন চ্যাট করতাম আমি একটু কবিতার সুরে ছন্দ মিলিয়ে মিলিয়েই কথা বলতাম। আর ও আমায় বলতো ' কি ব্যাপার পি আজ খুব কবি কবি মুড'। আমি ওকে কবিতা লিখে পঠাতাম আর ও আমাকে কবিতা লিখে পাঠাত। যদিও ওর লেখা কবিতা আজ আমার কাছে আর নেই। কিন্তুু ওকে লেখা কবিতাটা আমার এখনও মনে আছে। ও আমাকে একবার ঠাট্টা করে বলেছিল বা বা ভালোই তো কবি হয়েছো। তখন আমি লিখেছিলাম -
"কবিতা লিখতে পারিনা বলে কম ভেবোনা আমায়
কবিতা লিখতে পারিনা বলে কম ভেবোনা আমায়
আমিই কিন্তুু হবো একদিন তোমাদের বাড়ির জামাই।"
এক রাতের জন্য ভালোবাসা Love for one night
ওর সাথে তো আমার রোজই কথা হয়। সেদিন ছাদে দাঁড়িয়ে ওর সাথে ফোনে কথা বলছি, আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম তুই কি করছিস, যেহেতু আমরা একই ক্লাস এ পড়তাম এবং খুব ভালো বন্ধু ছিলাম তাই দুজন দুজনকে তুই বলতাম। তো আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম তুই কি করছিস ও বললো আমি ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। আমি বললাম আমিও। তারপর ওকে জিজ্ঞাসা করলাম চাঁদটা দেখতে পাচ্ছিস কি সুন্দর না। বললো হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি খুব সুন্দর। আমি ওকে বললাম চাঁদটা যদি আয়না হতো কি ভালো হতো তাইনা তুইও আমাকে দেখতে পেতিস আর আমিও তোকে দেখতে পেতাম। ও বললো হম্, তাহলে তো খুব ভালো হতো। ঠিক তখনই এক মুহূর্তে চাঁদ আর সুচন্দ্রাকে নিয়ে মনে কিছু সুন্দর শব্দের উৎপত্তি হয়ে গেলো। আমি ওকে ছন্দাকারে বললাম -
"চাঁদটা যদি আয়না হতো দেখতে পেতাম তোমায়
তুমিও হয়তো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে শুধু আমায়"
এটাই আমার লেখা প্রথম কিছু শব্দ। তবে এই শব্দগুলো সবসময় আমার মাথায় ঘুরতো, শব্দগুলোকে কবিতার রূপ দেওয়ার জন্য। কিছুদিন যাওয়ার পর একদিন ডাইরি পেন টা নিয়ে কবিতাটা পূরণ করার জন্য বসেছি। হঠাৎই আগের দুই লাইনের পর আরো দুই লাইন মনে পরে গেলো। আর এই ভাবেই আমি কবিতাটা সম্পূর্ণ করলাম। কবিতাটা এইরকম ছিল যে -
চাঁদটা যদি আয়না হতো দেখতে পেতাম তোমায়
তুমিও হয়তো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে শুধু আমায়
ভাবছি তোমায় মনে মনে, আঁকছি তোমায় খাতায়
জানিনা তুমি লুকিয়ে আছো কোন সে ঝড়ো পাতায়।
চোখ বুজলে দেখি তোমায় আমার প্রাণ-পণে
তবে কেনো চলে যাও ব্যাথা দিয়ে মনে
কল্পনাতে আসো তুমি, বাস্তবে কেনো নয়
আমার হৃদয় থাকবে শুধু তোমার অপেক্ষায়।
যাদের কাছে গান একমাত্র আশা, গান জীবনের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা আর গান মনেই গিটার। তাই গিটার প্রেমীরা অবশ্যই গিটার প্রেমী কবিতাটা পাঠ করুন ভালো লাগবে।
যদিও আমার দুর্ভাগ্যের কারণে কবিতাটা সম্পূর্ণ করেও আমি সুচন্দ্রাকে কবিতাটা শোনাতে পারিনি। কারণ সময়ের সাথে সাথে নানান পরিস্থিতির স্মুখীন হয়ে আমাদের মধ্যে চিরো বিচ্ছেদ ঘটে। আমার মনের সাথে তার মনের মিলন ঘটেছিল। কিন্তু হয়তো তার মনের সাথে আমার মনের মিলন ঘটেনি। আর হয়তো নিয়তিও এটাই চেয়েছিলো। তবে আমি সুচন্দ্রা কে এখনও ঠিক ততটাই ভালোবাসি আগে যতটা ভালবাসতাম।
আর আগে যে আইডিয়ার সিমটা নিয়ে কথা বলছিলাম, সেই সিমটা এখন বন্ধ করে দিয়েছি। আর এই সিমটা নিয়ে আমি দুই লাইন লিখেছিলাম -
"সামনে জো হে আজ কাভি থি ও মেরি ড্রীম
ইসিকেলিয়ে বন্ড কিয়া আইডিয়াকা সিম"
আমাদের সম্পর্কটা শেষ হয়ে যায়া। কিন্তু আমার মনে হয়, আমি যেমন তাকে ভালোবেসি, তার কথা আজও মনে করি। সেও হয়তো আমার কথা মনে করে।
ভালোবাসা মানে বিশেষ কোনো গুন থাকা নয়। ভালোবাসা মানে তো মনের সাথে মনের মিলন। ভালোবাসা মানে শুধু দুটি শরীরের নয়। ভালোবাসা মানে আত্তার সাথে পরমাত্মার মিলন।
তারপর থেকে আমি তার পাশেই বসতাম। তার নাম ছিল সুচন্দ্রা বা গানের সুরে বলা যায় সে প্রথম প্রেম আমার সূচন্দ্রা। সে খোলো চুলেই পরতে আসতো, তার এলো চুল যখন আমার শরীর স্পর্শ করত মনে হতো তার এলো চুলে আছে কি সুন্দর এক হাওয়া। আর হাসিতে তার ছিল যেনো এক ভুবন ভোলানো মায়া।
তার সাথে বন্ধুত্বটা আরও গভীর হয়। তারপর আমারা একে অপরের ফোন নম্বর নিয়ে কথা বলতে থাকি। তার সাথে কথা বললে কিভাবে যে সমস্ত সময় পার হয়ে যেত জানিনা। তারপর তো একটা সময় এমন আসে আমি পরতেই যেতাম সুচন্দ্রার জন্য। পড়তে আসার আগে ওকে আমি ফোন করে বলে দিতাম ওর পাশের বাসার জায়গা যেনো শুধু আমার জন্য খালি থাকে। ওর পাশে এসে বসটাম, ওর সাথে অনেক গল্পো করতাম। ওকে আমি শুধু "তেরে লিয়ে হি জিয়া খুদকো যো ইউ দে দিয়া হে" গানটা গাইতাম।
আমি গাড়ি নিয়ে পড়তে আসতাম আর ও সাইকেল নিয়ে পড়তে আসতো। পড়ার শেষে আমি ওর সাথে কথা বলতে বলতে ওর বাড়ির আগে পর্যন্ত যেতাম। আমার খুব মনে পরে ওর ফোনে রিংটোন ছিল "টু আটা হে সাইন মে যাব যাব আহে ভারটা হু"।
কেনো জানিনা মনে হতো ও আমার জন্যই ওই গানটা রিংটোন করে রেখেছিল।হয়তবা সত্যিই ও আমার জন্য গানটা রিংটোন করে রেখেছিল। আমি প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় ছাদের উপর দাড়িয়ে ওর সাথে ফোনে কথা বলতাম।
আমার তখন একটা আইডিয়ার সিম ছিল যেটাতে তখন অফার চলতো ২৬ টাকায় ২৬ টাকা ফুল টকটাইম। তখন প্রেমের নেশাই অন্ধ হতে আমি এতটাই বোকা হয়ে গিয়েছিলাম যে, প্রতিদিন ২৬ টাকা রিচার্জ করতাম। আর যতক্ষণ না ২৬ টাকা শেষ হতো আমাদের কথা শেষ হতনা। ২৬ টাকা শেষ কথা শেষ।
আমার নাম প্রীতম আর ও আমাকে ভালোবেসে পি বলে ডাকতো। ও আমাকে বারবার করে বলতো পি তুই ফোন প্রমো মারিস না কেনো। তখন আমি ওকে বলতাম প্রমো মারলে আমি ভুলে যাবো, যে আমি ভুলে আমি তোর সঙ্গে প্রতিদিন ২৬ টাকার কথা বলতাম।
আজ যে আমি এত কবিতা লিখি, গান লিখি সব ওরই কারণে। ওর যখনই আমার সামনে আসতো, যখনই ওর সাথে ফোনে কথা বলতাম ওর নাম নিয়ে বা ওকে কল্পনা করে নানা শব্দ ছন্দের মিশ্রণে আমার মনে কবিতার সৃষ্টি হতো। বিশেষ করে যখন আমি একা থাকতাম ওকে নিয়ে নানান কবিতা, গান লিখতেই থাকতাম। এখনও ওকে নিয়ে আমার মনে এত ছন্দ কথা আছে যে, তাতে হয়তো শুধু একটা ওয়েবসাইট ওর নামে খুললে আমি লিখে শেষ করতে পারবোনা।
তবে ওর সাথে যখন চ্যাট করতাম আমি একটু কবিতার সুরে ছন্দ মিলিয়ে মিলিয়েই কথা বলতাম। আর ও আমায় বলতো ' কি ব্যাপার পি আজ খুব কবি কবি মুড'। আমি ওকে কবিতা লিখে পঠাতাম আর ও আমাকে কবিতা লিখে পাঠাত। যদিও ওর লেখা কবিতা আজ আমার কাছে আর নেই। কিন্তুু ওকে লেখা কবিতাটা আমার এখনও মনে আছে। ও আমাকে একবার ঠাট্টা করে বলেছিল বা বা ভালোই তো কবি হয়েছো। তখন আমি লিখেছিলাম -
"কবিতা লিখতে পারিনা বলে কম ভেবোনা আমায়
কবিতা লিখতে পারিনা বলে কম ভেবোনা আমায়
আমিই কিন্তুু হবো একদিন তোমাদের বাড়ির জামাই।"
এক রাতের জন্য ভালোবাসা Love for one night
ওর সাথে তো আমার রোজই কথা হয়। সেদিন ছাদে দাঁড়িয়ে ওর সাথে ফোনে কথা বলছি, আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম তুই কি করছিস, যেহেতু আমরা একই ক্লাস এ পড়তাম এবং খুব ভালো বন্ধু ছিলাম তাই দুজন দুজনকে তুই বলতাম। তো আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম তুই কি করছিস ও বললো আমি ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। আমি বললাম আমিও। তারপর ওকে জিজ্ঞাসা করলাম চাঁদটা দেখতে পাচ্ছিস কি সুন্দর না। বললো হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি খুব সুন্দর। আমি ওকে বললাম চাঁদটা যদি আয়না হতো কি ভালো হতো তাইনা তুইও আমাকে দেখতে পেতিস আর আমিও তোকে দেখতে পেতাম। ও বললো হম্, তাহলে তো খুব ভালো হতো। ঠিক তখনই এক মুহূর্তে চাঁদ আর সুচন্দ্রাকে নিয়ে মনে কিছু সুন্দর শব্দের উৎপত্তি হয়ে গেলো। আমি ওকে ছন্দাকারে বললাম -
"চাঁদটা যদি আয়না হতো দেখতে পেতাম তোমায়
তুমিও হয়তো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে শুধু আমায়"
এটাই আমার লেখা প্রথম কিছু শব্দ। তবে এই শব্দগুলো সবসময় আমার মাথায় ঘুরতো, শব্দগুলোকে কবিতার রূপ দেওয়ার জন্য। কিছুদিন যাওয়ার পর একদিন ডাইরি পেন টা নিয়ে কবিতাটা পূরণ করার জন্য বসেছি। হঠাৎই আগের দুই লাইনের পর আরো দুই লাইন মনে পরে গেলো। আর এই ভাবেই আমি কবিতাটা সম্পূর্ণ করলাম। কবিতাটা এইরকম ছিল যে -
চাঁদটা যদি আয়না হতো দেখতে পেতাম তোমায়
তুমিও হয়তো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে শুধু আমায়
ভাবছি তোমায় মনে মনে, আঁকছি তোমায় খাতায়
জানিনা তুমি লুকিয়ে আছো কোন সে ঝড়ো পাতায়।
চোখ বুজলে দেখি তোমায় আমার প্রাণ-পণে
তবে কেনো চলে যাও ব্যাথা দিয়ে মনে
কল্পনাতে আসো তুমি, বাস্তবে কেনো নয়
আমার হৃদয় থাকবে শুধু তোমার অপেক্ষায়।
যাদের কাছে গান একমাত্র আশা, গান জীবনের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা আর গান মনেই গিটার। তাই গিটার প্রেমীরা অবশ্যই গিটার প্রেমী কবিতাটা পাঠ করুন ভালো লাগবে।
যদিও আমার দুর্ভাগ্যের কারণে কবিতাটা সম্পূর্ণ করেও আমি সুচন্দ্রাকে কবিতাটা শোনাতে পারিনি। কারণ সময়ের সাথে সাথে নানান পরিস্থিতির স্মুখীন হয়ে আমাদের মধ্যে চিরো বিচ্ছেদ ঘটে। আমার মনের সাথে তার মনের মিলন ঘটেছিল। কিন্তু হয়তো তার মনের সাথে আমার মনের মিলন ঘটেনি। আর হয়তো নিয়তিও এটাই চেয়েছিলো। তবে আমি সুচন্দ্রা কে এখনও ঠিক ততটাই ভালোবাসি আগে যতটা ভালবাসতাম।
আর আগে যে আইডিয়ার সিমটা নিয়ে কথা বলছিলাম, সেই সিমটা এখন বন্ধ করে দিয়েছি। আর এই সিমটা নিয়ে আমি দুই লাইন লিখেছিলাম -
"সামনে জো হে আজ কাভি থি ও মেরি ড্রীম
ইসিকেলিয়ে বন্ড কিয়া আইডিয়াকা সিম"
আমাদের সম্পর্কটা শেষ হয়ে যায়া। কিন্তু আমার মনে হয়, আমি যেমন তাকে ভালোবেসি, তার কথা আজও মনে করি। সেও হয়তো আমার কথা মনে করে।
প্রীতম কুমার
0 comments:
Post a Comment
যদি কোনো ব্যক্তি নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কবিতা লেখাতে চান তাহলে আমাকে কমেন্ট করে বলুন আমি আমার সার্থ অনুযায়ী আপনার হৃদয়স্পর্শী আবেগানুভূতি সম্মৃত কবিতা লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
ব্লগার এ নতুন এসেছি আপনাদের বন্ধু PK
ভালো লাগলে কবিতা আমার
শেয়ার এবং কমেন্ট অবশ্যই করবেন লিখে।
আমার লেখা অন্যান্য কবিতাগুলি পরবেন আশা করছি আপনার খুব ভালো লাগবে।