প্রেমের জাগরণ
sad love life couple |
শরীরের অঙ্গানুভূতি হয়েছে যে ছন্নছাড়া
তা তো মোর নিজ হস্ত দ্বারাই গড়া
এই বাঁধ ভেঙ্গে হয়েছে আমার হৃদয় বানভাসি
কিন্তুু আমি ভেসে যায়নি ভেসে যায়নি এই প্রবল ধারার স্রোতে
কারণ আমার হৃদয়ে প্রেমের জাগরণ ঘটেছে এক কোমল পবিত্র হৃদয় হতে
তাঁর হৃদয় এখনো বিরাজমান আমার হৃদয়ের পাশাপাশি
এখনো গঞ্জিত হয় আমার হৃদয়ে তাঁর মুক্তঝরনাসম মনোমুগ্ধকর হাসি
তাঁর সাথে অনেকদিন বাক্যলাপ হয়নি অনেকদিন শরীর তাঁর স্পর্শে শিহরিত হয়নি তাঁর কন্ঠে হৃদয়ে আবেগানুভূতির সৃষ্টি হয়নি
তবু কেনো জানিনা তাঁর চিন্তাই মগ্ন হলে হৃদস্পন দ্বিগুন হয়
কেনো জানিনিনা সপ্নে দুচোখ তাঁকে আলিঙ্গন করতে চাই
সে এখন আমার কল্পনা মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর চক্ষু নিদ্রার জগৎ অপেক্ষা অনেক দূরে বসবাস করছে
তবু কেনো জানিনা হৃদয় আঙিনায় তাঁর জন্য জায়গা এখনো রাশিরাশি
কেনো জানিনা নিদ্রিত হৃদয় সপ্নে চেঁচিয়ে বলে পূর্বে যে
মন রেখেছিলে আবার রাখবে নিজ হৃদয়ের পাশাপাশি।
যাদের কাছে গান একমাত্র আশা, গান জীবনের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা আর গান মনেই গিটার। তাই গিটার প্রেমীরা অবশ্যই গিটার প্রেমী কবিতাটা পাঠ করুন ভালো লাগবে।
এক রাতের জন্য ভালোবাসা
একটা মেয়ে ছিল যে রোজ রাতে আমার সাথে দেখা করতে আসতো। যদিও আমি তাকে কোনোদিনও দেখিনি আর তাকে আমি চিনিওনা, তবু কেনো জানিনা সে বারবার আমার কাছে আসতো। আমার সাথে মেয়েটির প্রথম দেখা হয়, আমার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাজা রামমোহন পার্ককে, যদিও প্রেমিকদের ভাষায় এই পার্কটির নাম আম বাগান। কারণ এই পার্কটির চারিদিক অসংখ্য আম গাছে সম্মৃত। এই পার্কটির খুবই জনপ্রিয়। কারণ এই পার্কটি যেই স্থানে অবস্থিত সেই স্থানটি হলো ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থান এবং পার্কের মধ্যেই ভগবান শ্রী শ্রী রাজা রামমোহন রায়ের সমাধিক্ষেত্র।
যাই হোক, তবে আশপাশের সমস্ত প্রেমিক প্রেমিকাই এখানে আসে নিজেদের ভালোবাসার কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে। সকল প্রেমিক প্রেমিকাই নিজেদের নাম এখানকার আম গেছে লিখে দিয়ে যাই, সারাজীবন একসাথে সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে থাকার সংকল্প নিয়ে। এখানে প্রায় সকল মানুষই নিজেদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া মানুষটিকে নিয়ে আসে। আবার কেউ কেউ নিজেদের টাইম পাশ করা সঙ্গীদের নিয়ে আসে।
আমি প্রায় এখানে আসতাম সময় কাটানোর জন্য, তবে আমার কোনো জীবনসঙ্গী বা টাইম পাশ করার সঙ্গী ছিলনা। তাই আমি একাই আসতাম। পার্কটি প্রায় সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকতো। প্রথম দেখার পর থেকেই সে রোজ আমার সাথে দেখা করতে আসতো। তবে মেয়েটি এতটাই সুন্দর ছিল যে কিছু শব্দের প্রয়োগ করে তাঁর অপরূপ সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করাটা সত্যিই অসম্ভব।
সময়ের সাথে সাথে আমি বুজতে পড়ি যে মেয়েটি আমাতে পছন্দ করে। তবে আমারও প্রথম দেখাতেই মেয়েটিকে খুব পছন্দ হয়ে যায়। যদিও তাকে আমি চিনিনা, তবুও কেনো জানিনা প্রথম দেখাতেই সে সামনে আসতেই হৃদস্পন্দন দ্বিগুন হতে গিয়েছিল। এখনও কেনো জানিনা তার কথা ভাবলে শরীর শিহরিত হয়। সেই পার্কে অনেক গোলাপ ফুলের গাছও ছিল। সেই গোলাপফুল আর মেয়েটিকে দেখে বারবার একটা কথাই মনে হতো -
"অনেক প্রেমিক হয়েছে তার রূপে আত্নহারা
হয়ত তার এই রূপের কাছে অনেক পড়েছে মারা
কারণ সে যে বাগানে থাকা পুষ্পের চেয়েও সেরা"
এ ভাবেই একে অপরের দিকে দেখে এবং তার ভাবনাই কল্পনাই ভাসতে ভাসতে কয়েকটা দিন কেটে গেলো। মিয়েটিকে প্রথম দেখার পর থেকে আমি প্রতিদিনই পার্কে আসতাম তার রূপের একটা ঝলক দেখার জন্য। প্রতিদিনের মত সেদিনও আমি পার্কে গিয়ে বসে আছি, যেই দিনটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন। তখন ঘড়িতে প্রায় ৫.৩০ বাজে, দিনটা ছিল মঙ্গলবার আর আমার আজও মনে আছে তারিখ ছিল ২০১৭ ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিক, সে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো তৎক্ষণাৎ আমার শরীরটা কেমন যেনো কেঁপে উঠল। আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলো। ঠিক তার পরেই সে যখন আমায় বলল সে আমায় ভালোবাসে আমার পুরো পৃথিবীটাই যেনো বদলে গেলো।আমার মনে যেনো নানা সুর বাজতে লাগলো। তার পরেই সে আমার কাছ থেকে আমার ফোন নম্বরটা নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো আর আমিও বাড়ি চলে এলাম।
পরেরদিন সে আমায় ফোন করে পার্কের বাইরে দাঁড়াতে বললো, আমিও অন্য দিনের থেকে অনেকটা আগে থেকে এসে তার জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করলাম। কিছুক্ষন পরেই সে এসে গেলো, যখন পার্কে প্রবেশ করার জন্য সে আমার হাতে হাত রেখে এগোতে লাগলো আমার একটা কথাই মনে হলো, অবশেষে আমার জীবনেও সেই দিনটি এসে গেলো। যেদিন আমিও আমার প্রথম ভালোবাসা আমার জীবনসঙ্গীকে নিয়ে এই পার্কে প্রবেশ করছি।
আমরা পার্কের ভিতরে গিয়ে প্রেমিকদের নামাঙ্কিত স্মৃতিচিহ্ন যুক্ত আমগাছের তলায় থাকা একটি চেয়ারে বসলাম। সে আমার হাতে হাত রেখে আমায় আমার নাম জিজ্ঞাসা করলো। আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম, তারপর আমার নাম বলার পর আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি আমার নাম জানোনা, আমাকে চেনোনা তাহলে তুমি আমায় কি দেখে ভালোবাসলে।অন্য সকল ছেলেদের আমি অতটা স্মার্ট নয়, সাধারণ পোশাক পরি, এলোমেলো চুল তাহলে তুমি আমায় কি দেখে পছন্দ করলে?
জীবন বদলে দেওয়া কিছু অনুপ্রেরণামূলক গল্পো
তখন সে আমায় বলল আমি প্রতিদিনই এখানে আসি আর লক্ষ করি যে, তুমি অন্য সকলের থেকে একদম আলাদা। কারণ পার্কে প্রেমিক প্রেমিকারা আসতো প্রেম করতে আর কিছু কিছু ছেলে আসতো তাদের দেখতে। কিন্তু আমার লক্ষ শুধু তোমার দিকেই যেত কারণ তুমি সকলের থেকে আলাদা ছিলে। আমি দেখতাম পার্কের মতো জায়গাই যেখানে মানুষ প্রেম করতে আসতো, তুমি আসতে হাতে ডাইরি আর পেন নিয়ে। আমি দেখতাম তুমি রোজ কিছু লেখালেখি করতে এবং গুনগুন করে গাইতে। আর তুমি হয়তো জানোনা, তুমি যেই গাছের নিচে বসে লেখালেখি করতে আমি সেই গাছের আড়াল থেকে তোমার লেখা পড়তাম আর তোমার গাওয়া গান শুনতাম।
প্রতিদিন তোমার লেখা কবিতা পড়তে পড়তে, তোমার গাওয়া গান শুনতে শুনতে আমি তোমার এই সাধারণ জিবন যাপন আর এই ভালো মানুষই চেহারাটাকে ভালোবেসেফেলেছিলাম। আর আজ তোমাকে পেয়ে আমি খুব খুশি। আমি সারাজীবন শুধু তোমার সাথেই কাটাতে চাই। আমি তোমার সুখ দুঃখের সাথী হতে চাই। তার সব কথা শোনার পর আমি তাকে তার নাম জিজ্ঞাসা করলাম এবং সে তার না বললো সুমনা। যদিও তাকে আমি ভালোবেসে সোনামোনা বলেই ডাকতাম। তার পর থেকে সে যখনই আমার সাথে দেখা করতে আসতো, আমি গানের সুরে সুরে বলতাম সুমনা সুমনা সুমনা কাছেতে আমার এসোনা।
"আমার গান শুনে সে যখন আনন্দে উঠত হেঁসে
আমার হৃদয় যেনো প্রবল ধরার স্রোতে যেত ভেসে
সে শুধুই প্রেমের কথা বলত আমার কাছে এসে
সেও আমার সাথে গান করতো, আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরত। আমরা পার্কে ছাড়াও অন্যান্য জাইগায় ঘুরে বেড়াতাম, কিন্তু ঘুরে ফিরে আবার এই খানেই আসতাম। কারণ এখানেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। সেখানে ও রোজ দাঁড়িয়ে থাকতো, জানিনা সেদিন কি হয়েছিলো, আমি সারারাত ওর জন্য অপেক্ষা করলাম আর সেদিন ওকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শুধুই কাঁদতে থাকলাম। কিন্তু ও এলো না।
এই ভাবেই হয়ে গেলো ক্লান্ত একটি রাতের শেষ, কিছুক্ষন পরেই দেখি সকাল হয়েছে চারিদিকে সোনালী আলোর রেস। হঠাৎই দেখি আমার সামনে আর কিছু নেই, এক মুহূর্তে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেলো। তারপর আমি বুজতে পারলাম -
সে ছিল আমার স্বপ্নের রানী, যে আমার স্বপ্নে এসে শুনিয়ে গেলো অমর প্রেমের বাণী। সে এসেছিল রাতে, এখন তো সকাল হয়েছে তাই হয়ত সে নেই আমার সাথে। সে হয়ত এভাবেই আসবে আবার কোনো এক রাতে, রাখবে তার সেই সুন্দর কোমল পবিত্র হাত আমার হাতে। আর যদি সে আমার ভাগ্যে থাকে তাহলে সে আবার আসবে আমার জীবনে।আবার আমরা একসাথে ঘুরে বেড়াবো এই অপরূপ সুন্দর ভুবনে।
জীবন বদলে দেওয়া কিছু অনুপ্রেরণামূলক গল্পো
-প্রীতম কুমার
0 comments:
Post a Comment
যদি কোনো ব্যক্তি নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কবিতা লেখাতে চান তাহলে আমাকে কমেন্ট করে বলুন আমি আমার সার্থ অনুযায়ী আপনার হৃদয়স্পর্শী আবেগানুভূতি সম্মৃত কবিতা লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
ব্লগার এ নতুন এসেছি আপনাদের বন্ধু PK
ভালো লাগলে কবিতা আমার
শেয়ার এবং কমেন্ট অবশ্যই করবেন লিখে।
আমার লেখা অন্যান্য কবিতাগুলি পরবেন আশা করছি আপনার খুব ভালো লাগবে।