ভগবানের বাসস্থান আমাদের এই হিন্দুস্থান |
indian flag lover quotes |
দেখতে চাও ভগবান ঘুরে আসো হিন্দুস্থান
দেখতে পাবে মহত্মা গান্ধী দেখবে নতুন প্রাণ।
দেখতে পাবে ভারত পতিকি রাজা রামমোহন রায়
দেখেতে পাবে চন্দ্রশেখর কিভাবে প্রাণ দেয়।
দেখেতে পাবে ভগবান শ্রী শ্রী স্বামী বিবেকানন্দ
পেলে দেখা রামকৃষ্ণের পাবে তুমি আনন্দ।
শুনবে ভগবান কালামের মুখনিসৃত বাণী
দেখবে প্রতি ঘরে থাকা ভারতবর্ষের রানী।
দেখবে সর্দার বল্লব ভাইয়ের সূর্য দীপ্ত দেহ
শুনলে হজরত মুহাম্মদের বাণী ভুলেনা কখনো কেহ।
দেখবে অস্পৃশ্য জাতির বলে, যাকে সবাই করেছিল পর
তিনিই সংবিধানের সৃষ্টিকর্তা, ড: বি আর আম্বেদকর।
দেখতে পাবে সূর্যসেনের আত্মবলিদান
দেখবে হাসি মুখে দেওয়া ভগৎ সিং এর প্রাণ।
শুনতে পাবে রাজগুরু আর সুকদেবের হাসি
দেখতে পাবে হাঁসি মুখে ক্ষুদিরামের ফাঁসি।
দেখবে প্রফুল্ল চাকির দেওয়া নিজের গুলিতে প্রাণ
শুনবে, ভারতকে বিশ্বকবির দান জনগণমন গান।
দেখবে গরীবের অনাহারে বিদ্যাসাগরের দান
দেখবে বিনয় বাদল দীনেশ কিভাবে দেয় প্রাণ।
দেখতে পাবে বীরপুত্র সুভাষচন্দ্র বোস
দেখবে তুমি চরমপন্থী অরবিন্দ ঘোষ।
শুনবে, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের হৃদয় উত্তপ্ত গান
চানক্যের বানীতে সৃষ্টি হবে নবরূপে তোমার প্রাণ।
দেখতে পাবে দয়াময়ী মা সারদা দেবী
দেখবে আর এক করুণাময়ী মাদার তেরেসার ছবি।
অবশ্যই পাঠ করো, ভগবান বুদ্ধের অমর জীবন কাহিনী
সক্ষম হবে সব পরিস্থিতির সামনে দাঁড়াতে তুমি।
শুনতে পাবে জননী সেবিকা নিবেদিতার কথা আই
দেখবে রামপ্রসাদ বিসমিলের প্রতি অত্যাচারের ব্যাথা।
দেখবে, সিধু কানু মঙ্গল পান্ডের ব্রিটিশের প্রতি যুদ্ধ
দেখলে লাল বাল পালের ত্যাগ হবে তুমি মুগ্ধ।
দেখবে, এখনও দেশের সৈন্য কিভাবে হাসি মুখে দেয় প্রাণ
শুনবে কোটি মানুষের মুখে তাঁদেরই জয়গান।
শুদ্ধ চিত্তে ঘুরে আসো একবার হিন্দুস্থান
দেখবে পথে লুটিয়ে থাকা কোটি কোটি ভগবান।
Bhogni nibedita |
ভগিনী নিবেদিতা
নিবেদিতার পূর্ব নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন নামে এক ছোট শহরে ১৮৬৭ সালের ২৮ শে অক্টোবর তার জন্ম। তার পিতা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল পেশায় ধর্মযাজক ছিলেন। মাতার নাম মেরি ইসলাবেল। মাত্র দশ বছর বয়সে তার পিতার মৃত্যু হলে তাদের অভিভাবকদের দায়িত্ব পালন করেন মারগারেটের মাতামহ হ্যামিলটন। আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট নেতা ছিলেন
পিতৃ পুরুষের প্রভাবে এবং অন্য দিকে মাতামহের আদর্শের প্রেরণায় মার্গারেট ও চরিত্র একই সঙ্গে দেখা দিয়েছিল সত্যনিষ্ঠা ধর্মের প্রতি অনুরাগ দেশাত্মবোধ এবং রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ।
জীবন কাটে সার্চ এর অধীনে লন্ডনের স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা মধ্যে দিয়ে তৃতীয় মেধাবী ছাত্রীর বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে বাইরে প্রচুর পড়াশোনা করতেন সাহিত্য সঙ্গীত কলাবিদ্যা পদার্থবিদ্যা উদ্ভিদবিদ্যা সবেতেই ছিল তার সমান আগ্রহ।
সাফল্যের সঙ্গে স্কুল জীবন শেষ করে মাত্র১৭ বছর বয়সে মার্গারেট শিক্ষার্থীর জীবনে প্রবেশ করেন কিছুদিনের মধ্যেই উইম্বলডনে স্কুল খুলে নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষাদান অল্প দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখতে থাকেন কিছুদিনের মধ্যেই তিনি লন্ডনের বুদ্ধিজীবী বলে একজন শক্তিশালী লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে চার্জ এর অধীনে তিনি নিয়মিত সেবা কাজ করতেন তাঁর ধর্মের প্রতি আকর্ষণ ছেলেবেলা থেকেই ছিল।
বাস্তব জীবনে যথেষ্ট সফল হলেও চার্চ এর অধীনে প্রথাগত ধর্ম জীবন তাকে শান্তির সন্ধান দিতে পারেনি ধর্ম সম্বন্ধে বিভিন্ন বই পত্র পড়ে তিনি প্রকৃত ধর্ম জীবনের পথ খুঁজতে চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কিছুতেই শান্তি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
জীবনের এই অশান্তি চিরকালের জন্য দূর হয়ে গেল ভারতীয় সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসের এক সন্ধ্যা বেলা লন্ডনের অভিজাত পরিবারের বাড়িতে স্বামী কি ভারতীয় বেদান্ত দর্শন ব্যাখ্যা করেছিলেন। মার্গারেট এখানেই তাকে প্রথম দর্শন করলেন। বীর সন্ন্যাসী ধর্ম ব্যাখ্যা ও ব্যক্তিত্ব তিনি মুগ্ধ হলেন। এরপর স্বামীজি লন্ডনে নানা জায়গায় প্রশ্ন উত্তর ও বক্তৃতার ক্লাস করছেন। মার্গারেট সর্বত্র উপস্থিতি থেকে তার প্রতিটি ব্যাখ্যা অত্যান্ত মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। ক্রমাগত প্রশ্ন করে তিনি সংশোধন করতে চাইতেন এবং নিজের মনে সেগুলি নিয়ে অনবরত চিন্তা করতেন। অবশেষে তার বিশ্বাস হলো, যে ধর্মজীবনের সন্ধানে এতদিন তিনি দিশেহারা ছিলেন তার সন্ধান দিতে সমর্থ এই ভারতীয় সন্ন্যাসী। মার্গারেট তাকে গুরু বলে বরণ করে নিলেন।
এরপর তিনি স্বামীজীর সঙ্গে ভারতবর্ষে আসেন। কিছুদিন পর স্বামীজি মার্গারেটকে দীক্ষাদান করলেন। তার নাম হলো নিবেদিতা। তাকে নির্দেশ দিলেন আজীবন কঠোর সংযম অবলম্বন করতে পার বুদ্ধের মত মানব সেবায় আত্মোৎসর্গ করতে।
পরবর্তী জীবনে নিবেদিতার একমাত্র উদ্দেশ্য হল ভারত-বর্ষের সেবা করা। স্বামীজীর এই কথায় তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতবর্ষের কল্যাণেই জগতের কল্যাণ। ভারতের আধ্যাত্বিক কথার আদর্শ জগতকে চিরকাল কল্যাণের পথ দেখাবে। তাই তার ভারত সেবা আসলে ছিল সমগ্র মানবজাতি সেবা। প্রসঙ্গত, স্বামীজি নিবেদিতাকে মন্ত্র দীক্ষা দেওয়া ঠিক এক বছর পর ১৮৯৯ এর ২৫ শে মার্চ নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারিণীর দ্রুত দান করেন।
জীবন বদলে দেওয়া কিছু অনুপ্রেরণামূলক গল্পো
Bhagbat Singh |
ভগৎ সিং
পাঞ্জাব তথা ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের আকাশে ভগৎ সিং এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিখ্যাত বিপ্লবী অজিত সিং এর ভাইপো ছিলেন ভগৎ সিং। লাহোরের জাতীয় কলেজে পড়াশোনার সময়ই ভগৎ সিং রুশ সমাজতন্ত্রের বিপ্লব এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন।
বিভিন্ন বৈপ্লবিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ
ভগৎ সিং চন্দ্রশেখর আজাদ এর 'হিন্দুস্তান রিপাবলিকান' পার্টির সদস্য পদ গ্রহণ করেন ১৯২৩ সালে। দু'বছর পরে তিনি নিজে 'নওজোয়ান ভারত সভা' নামে একটি যুব সংগঠন গড়ে তোলেন। এ সময় তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকজন সঙ্গী ছিলেন দিননাথ, অবাধ বিহারী, রওশন লাল, আসফাকউল্লা, রাজেন্দ্রনাথ লাহিড়ী, রামপ্রসাদ বিসমিল প্রমূখ। ১৯২৮ সালে তিনি হিন্দুস্তান পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে নতুন নাম দেন 'হিন্দুস্তান সোশালিস্ট রিপাব্লিকান এসোসিয়েশন'।
স্যান্ডার্স হত্যা
সাইমন কমিশন বিরোধী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে লালা লাজপত রায় মারা গিয়েছিলেন। এর বদলা নেয়ার লক্ষ্যে ভগৎ সিং ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে দিনের আলোয় সহকারী পুলিশ সুপার স্যান্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন।
কেন্দ্রীয় আইন সভায় বোমা নিক্ষেপ
১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভা শিল্প বিরোধ ও জননিরাপত্তার নিয়ে আলোচনা চলছিল সেই সময় ভগৎ সিং ও বর্ধমানের ছেলে বটুকেশ্বর দত্তকে নিয়ে আইন সভায় পরপর দুটি বোমা ছোঁড়েন দর্শক আসন থেকে। এই ঘটনায় সারা ভারত তোলপাড় হয়ে ওঠে।
ভগৎ সিং এর ফাঁসি
আইন সভায় বোমা নিক্ষেপ করার পর ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত স্বেচ্ছায় ধরা দেন। গান্ধীজী বড়লাট আরউইন এর সাথে চুক্তিতে মেনে নেন যে সন্ত্রাসবাদি বিপ্লবীদের ব্রিটিশ মুক্তি দেবে না। এর ফলে ভগৎ সিং এর ফাঁসি এড়ানো যায়নি। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ লাহোর জেলে ভগৎ সিং এর ফাঁসি হয়ে যায়। ফাঁসি হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ভগৎ সিং চেঁচিয়ে বলেছিলেন, 'ইনক্লাব জিন্দাবাদ'। এ কথার অর্থ বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। পরাধীন ভারতের প্রেক্ষাপটে ভগৎ সিং এর এই আত্মত্যাগ তাঁকে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।
গুরুদেব (অরিজিৎ সিং)
বিনয় বাদল দীনেশ
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় লগ্নে বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্তের বৈপ্লবিক প্রচেষ্টা সশস্ত্র সংগ্রামের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। 'বি বা দী' নামে পরিচিত এই তিন বিপ্লবী গান্ধীজীর নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলনের সময় কালে রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ এর ঘটনা ঘটান। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র বিনয় কৃষ্ণ বসু ১৯৩০ সালের ২৯ এ আগস্ট ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে পেসেন্ট ওয়ার্ডের মধ্যেই কুখ্যাত দুই পুলিশ অফিসার লেম্যান ও হার্ডসনকে গুলি করে হত্যা করেন। এরপর তিনি গা ঢাকা দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন এবং হেমচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলে যোগ দেন। পরে বিনয় বাদল দীনেশ গুপ্তের সাথে পরিচিত হোন তিনজনে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান এর গোপন ছক কষেন।
রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান
১৯৩০ সালের ৮ ই ডিসেম্বর দুপুরে বিনয়-বাদল-দীনেশ ছদ্মবেশে সোজা মহাকরণে ঢুকে যান। সোজা দোতালায় উঠে বিনয় নিজের 38 bore rifle থেকে পরপর ছটি গুলি করে কাটা বিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল কর্নেল সিম্পসন কে হত্যা করেন। এরপর তারা তিনজনে জাতীয় পতাকা হাতে বন্দেমাতরম ধ্বনি উচ্চারণ করতে করতে পূর্ব দিকের বারান্দার দিকে এগিয়ে যান। সেই সময় তাদের সাথে নেলসন, টাউসেন্ড, প্রেন্টিস, মার প্রমুখ বৃটিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ বাঁধে। লালবাজারে এই যুদ্ধের খবর পৌঁছালে সেখান থেকে পুলিশ কমিশনার চার্লস ট্রেগার্ট বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে রাইটার্স বিল্ডিং ঘিরে ফেলেন। তিনি বিপ্লবী সাথে পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ সুপার ফোর্ভে প্রমুখের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীর অসম লড়াই শুরু হয়। অবশেষে বিপ্লবীদের পিস্তলের সব গুলি ফুরিয়ে যায়। বাদল পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। গুরুতর অবস্থায় বিনয় দিনেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। নিজের মাথার ক্ষত স্থানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘাকে বিষাক্ত করে দিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৩ ই ডিসেম্বর দিনেশ দীর্ঘ চিকিৎসার পর ২৯ ই জুলাই তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। স্বাধীনতার লক্ষ্যে এই আত্মত্যাগ বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।
Surya Sen |
এক রাতের জন্য ভালোবাসা Love for one night
মাস্টারদা সূর্যসেন
ভারতের মুক্তি সংগ্রামের চরমপন্থী বিপ্লববাদের অন্যতম নায়ক মাস্টারদা সূর্যসেন। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন এক মনে রাখার মত বিষয়। উমাতারা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের এই শিক্ষকটি পুস্পকুন্তলা নামক নিজের গ্রামেরই এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও সংসার জীবন ত্যাগ করে বিপ্লবী জীবন বেছে নেন।
তাঁর নেতৃত্বে তাঁর অনুগামী বিপ্লবীদের নিয়ে গঠিত হয় ভারতের অস্থায়ী স্বধীন সকার।
ইন্ডিয়ান রিপাবলিক দল গঠন
১৯২৬ সালের ৮ আগস্ট সূর্য সেনের বৈপ্লবিক কার্যকলাপের জন্য ব্রিটিশ অফিসার তাঁকে গ্রেফতার করে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সামরিক বাহিনী 'ইন্ডিয়ান রিপাবলিক আর্মি' গঠন করেন ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ১৮ এপ্রিল এই বিপ্লবী সংগঠনটি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন
১৮ এপ্রিল রাত দশটায় পূর্বপরিকল্পনামাফিক সূর্যসেনের নেতৃত্বে ৬৪ জন বিপ্লবী চট্টগ্রামের সরকারি অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করেন। তারা একসাথে চারটি কেন্দ্র আক্রমণ করেন। আক্রমণের কেন্দ্র গুলি হল - সেনাদের অস্ত্রাগার, টেলিগ্রাফ টেলিফোন কেন্দ্র, ইউরোপীয় ক্লাব। এই সব কাজে মাস্টার সঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লোকনাথ বল, গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিংহ, অম্বিকা চক্রবর্তী, নির্মল সেন, ওপেন ভট্টাচার্য্য, জীবন ঘোষ, কল্পনা দত্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমূখ। বিপ্লবীরা প্রচুর অস্ত্র শস্ত্র সংগ্রহ করেন টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন উপড়ে ফেলেন। অবশেষে বিপ্লবীরা জালালাবাদের পাহাড়ে আশ্রয় নেন।
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৫ টার সময় জালালাবাদ পাহাড়ে বিপ্লবী বাহিনীর সঙ্গে বিশাল ইংরেজ পুলিশ বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয় রাত্রি আটটা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা দু'পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে ৬৪ জন ব্রিটিশ সেনা ও ১১ জন বিপ্লবী মারা যান এই যুদ্ধে মাত্র ১৩ বছর বয়সের কিশোর হরি গোপাল বল শহীদ হন।
পিংকির প্রেমে পাগল হয়ে এক বিরহ কাতর প্রেমিকের লেখা কবিতা
মাস্টারদার ফাঁসি
সেদিন বাংলার বিপ্লববাদের নায়ক মাস্টারদা কে ধরা না গেলেও চট্টগ্রামে নিজের গ্রাম গৈরালাতে আত্মগোপন থাকাকালীন এক বিশ্বাসঘাতক মাষ্টারদাকেধরিয়ে দেন (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩)। ১৯৩ সালের ১২ ই জানুয়ারি চট্টগ্রামের জেলে মাস্টারদার হয়। ভারতের পরাধীনতার শৃংখল মোচন ও গ্লানি দূর করতে দৃঢ় ও স্বাধীনচেতা এই মানুষটির আত্মত্যাগই তাঁকে ইতিহাসে স্মরণীয় করে রেখেছে।
প্রীতম কুমার
No comments:
Post a Comment
যদি কোনো ব্যক্তি নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কবিতা লেখাতে চান তাহলে আমাকে কমেন্ট করে বলুন আমি আমার সার্থ অনুযায়ী আপনার হৃদয়স্পর্শী আবেগানুভূতি সম্মৃত কবিতা লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
ব্লগার এ নতুন এসেছি আপনাদের বন্ধু PK
ভালো লাগলে কবিতা আমার
শেয়ার এবং কমেন্ট অবশ্যই করবেন লিখে।
আমার লেখা অন্যান্য কবিতাগুলি পরবেন আশা করছি আপনার খুব ভালো লাগবে।