গুরুদেব (অরিজিৎ সিং)
arijit singh biographay in poem |
ভালোবাসি লিখতে আমি কবিতা আর গান
এত সবই আমার গুরুদেব অরিজিৎ সিং এর দান
কন্ঠে আমার সুর না থাক না থাক হাতে গিটার
একদিন কাছে পৌঁছে যাব তার এটাই করি প্রেয়ার
আমার প্রিয় শিল্পী জানি হেমন্ত, কিশোর, মান্না
কেন জানি না নতুন প্রজন্ম তাঁদের কে আর চাননা
স্বর্ণ কণ্ঠা শিল্পী তাঁরা একসময় করেছেন রাজ
সুর সাম্রাজ্যের শাসক হলেন আমার গুরুদেব আজ
গুরুকুল ফেম এ এলিমিনেট হয়েও, হাল ছাড়েননি যিনি
সুর সম্রাট হলেন আজ আমার গুরুদেব তিনি
গান এর কথায় কণ্ঠ তার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে
গভীর দুঃখ কষ্ট মাঝেও থাকেন হৃদয় জুড়ে
কন্ঠে কি সুর তাঁর নয়নে কি তাঁর বাণী
এক থেকে একশ তাকে অনুসরণ করে জানি
লম্বা লম্বা চুলগুলো তার আদর করে ঘেঁটে দেয় এলোমেলো হাওয়া
হাসিতে তাঁর আছে এক ভুবন ভুলানো মায়া
তেলেগু ফিল্ম এ গানের পর বলিউড এ আসনে
আশিকি টু এর গানের জন্য মানুষ ভালোবাসেন
বাংলায় গান করেছেন তিনি আরো কত ভাষায়
১০০ বছর আরো করবেন থাকবো আমি আশায়
আঁকতে শুধুই পারি আমি গুরুদেবের ছবি
গুরুদেবের কন্ঠ সুরেই চলছে সব মুভি
তিন বছরে হারমোনিয়াম শেখেন দুই মাসে
উন্নতির চরম শিখরে আজ সংগীত কে ভালোবেসে
একটা সময় ছিল যখন ছিলেন কিশোর কুমার
পৃথিবী জুড়ে আজকে শুধুই গুরুদেব আছেন আমার
সেরা বাঙালি আওয়ার্ড প্রাপ্ত ১৮ তে যিনি
প্রার্থনা করি ২০ তে গিয়ে পাবেন গ্রামি তিনি
সংগীত জগতে অস্কার পেয়েছেন রেসুল গুলজার রহমান
২০২২ শে পাবেন জানি গুরুদেব এ সম্মান
গুরুদেবই প্রথম প্রেম গুরুদেবই শেষ
আমিও জয় করব একদিন গান দিয়ে এই দেশ
মাটিতে পা থাকলেও তাঁর সুর দেয় হৃদয় কে দোলা
চোখ খুললে তিনি আবার চোখ বন্ধ করলেও কেন জানিনা তাঁকে যায় না ভোলা
প্রশংসার ঊর্ধ্বে তিনি নেই কোন ভাষা
তাঁর জন্য আছে শুধু হৃদয়ে ভালোবাসা
পৃথিবী জুড়ে আজকে শুধু শোনা যায় তাঁর নাম
গুরুদেবের চরণে জানাই শতকোটি প্রণাম।
জীবন বদলে দেওয়া কিছু অনুপ্রেরণামূলক গল্পো
ভারতের সমস্ত বিখ্যাত গায়কদের তালিকায় শীর্ষে আছেন সুর সম্রাট অরিজিৎ সিং। শুধু ভারত বর্ষ নয় তিনি এখন পৃথিবীর বুকে রাজ করছেন। সুর সাম্রাজ্যের সম্রাট বা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কিং যদি বলা হয় তিনি হলেন অরিজিৎ সিং। অরিজিৎ সিং এর কন্ঠের প্রশংসা যতই করি কম হয়ে যায়। আসলে তিনি সমস্ত প্রশংসার ঊর্ধ্বে।
তিনি ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল শেখেন রাজেন্দ্র প্রসাদ হাজারী এবং তবলা শেখেন ধীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারীর কাছ থেকে। বীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারীর কাছ থেকে রবীন্দ্র সংগীত এবং পপ মিউজিক শেখেন।
তিনি তিন বছর বয়স থেকে হাজারী ভাইদের কাছে ট্রেনিং নেওয়া শুরু করেন। ৯ বছর বয়সে তিনি সরকার দ্বারা একটি স্কলারশিপ পান ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল শেখার জন্য। তিনি বড় হয়ে মোজার্ট, বিথোভেন
এবং বাংলা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সোনা শুরু করলেন।
গানের পাশাপাশি আর যা করে থাকেন
তিনি যেমন খুব ভালো গান করেন এর পাশাপাশি তিনি
সঙ্গীত সুরকার, সঙ্গীত প্রোগ্রামার, সঙ্গীত প্রযোজক, রেকর্ড প্রযোজক, চলচ্চিত্র পরিচালক
,লাইভ পারফরম্যান্স করে থাকেন।
২০১১ সালে তিনি বলিউডে পদার্পণ করেন মিঠুনের রচিত 'মার্ডার টু' সিনেমার 'ফির মহব্বত কারনে চালা হে তু' গানের মাধ্যমে। গানটি রেকর্ডিং করা হয় ২০০৯ সালে এবং ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়। এই বছরে 2012 সালে মুক্তি পাওয়া এজেন্ট বিনোদ সিনেমার 'রাবটা' গানটির জন্য যখন তিনি কাজ করছিলেন, তখন প্রখ্যাত মিউজিসিয়ান প্রীতম চক্রবর্তী অরিজিৎ কে বলেছিলেন তুমি বেশ ভালো গান করো। ওই বছরই অরিজিতের গান শোনার পর প্রীতম তার তিনটি সিনেমা প্লেয়ারস ককটেল এবং বারফি তে গান গাওয়ার জন্য বলেন। তিনি চিরন্তন ভাট দ্বারা পরিচালিত ১৯২০ এভিল রিটার্ন নামক সিনেমায় 'উস্কা হি বানা' গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। বিশাল শেখর দ্বারা পরিচালিত 'সাগাই' নামক সিনেমার জন্য 'দুয়া' নামক গানটি গায়েন।
এরপর অরিজিত প্রীতমের সঙ্গে কাজ করতে থাকলেন। তিনি দিল্লি ওয়ালি গালফ্রেন্ড, ইলাহী, ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি সিনেমা থেকে কাবিরা এবং বালাম পিচকারি গানটিতে কণ্ঠ দেন। এছাড়াও ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো সিনেমার মে রাঙ্গ সারবাতো কা গানটিতে কণ্ঠ দেন। এই গানটি প্রীতম এর দ্বারা রচিত। তিনি আর রাজকুমার সিনেমার জন্য ধোকা ধারী গানটিতে কণ্ঠ দেন। এছাড়াও শাহরুখ খান অভিনীত চেন্নাই এক্সপ্রেস সিনেমার কাশ্মীর টু কন্যাকুমারী নামক গানটিতে কন্ঠ দেন। এটি বিশাল শেখর দ্বারা রচিত। এছাড়াও কাভি জো বাদল, হার কিসি কো, সেমি ক্লাসিক্যাল লাল ইশক গানগুলোতে কন্ঠ দেন।
যাদের কাছে গান একমাত্র আশা, গান জীবনের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা আর গান মনেই গিটার। তাই গিটার প্রেমীরা অবশ্যই গিটার প্রেমী কবিতাটা পাঠ করুন ভালো লাগবে।
নীয়ে, নান উন
গুমুঠা
মৌন ঠালিথে
আমাদের সূর্য মেরুন, এ শুধু খেলা নয়, গোলেমালে, বোঝেনা সে বোঝেনা, নারে না, সাজনা, মন বাওরে, দিনক্ষণ মাপা আছে, মনে পড়লে, ভয়, দেখাশোনা, চুপিচাপি, ঘর আজা, থেমে যায়, মন মাঝিরে, ইচ্ছে যত, রোশনি এলো, ঘুম পাড়ানির গান, কলেজ সং, কি করে তোকে বলবো, বেচে থেকে লাভ কি বল, বালির শহর, দিল্লী, ও প্রিয়া রে প্রিয়া, চল চল চল, চাঁদের পাহাড়, ওরে মন উদাসী, সাধের নাইটি, একলা একা মন, মন বোঝেনা, ও ফকিরা, কেটে গেছে দিন, অপুর পায়ের ছাপ, ওরে মনওয়া রে, এই ভালো এই খারাপ, পিয়া বিনা, খেলা শেষ, পারবো না আমি ছাড়তে তোকে, আসো না, বোবা রাজকুমার, সারাটা দিন, আমি তোমারি কাছে রাখবো, আমি আছি, আসাদোমা সদগাময়, কিছু কিছু কথা, মায়ার জীবন নাকি, কেন, কে তুই বল, চিনে ফেলেছি রাস্তাঘাট, রং নাম্বার, ঠিকানা লেখা নাই, তোর এক কথায়,পারবো না, আমি রাজি, এগিয়ে দে, ইমোশনাল সাইয়া,শুধু তোমারই জন্য, মনেরি মাঝে যেন, তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম। এছাড়াও তিনি 'তোমায় আমায়' নামক একটি বাংলা সিরিয়ালের টাইটেল সংগীতটিতে কণ্ঠ দেন এবং সৌরভ গাঙ্গুলি দ্বারা পরিচালিত বাংলার সবচেয়ে বড় কুইজ শো 'দাদাগিরি' এর টাইটেল সংগীতটিও উনিই গায়েন।
২০১৬ তে অরিজিৎ সিং সবচেয়ে বেশি লাইভ পারফরমেন্স করার জন্য উইস্ক্রাফট হনৌর আওয়ার্ড পান এবং এস এস সি এরিনার মধ্যে প্রযোজ্য বিশ্বের সর্বাধিক 10 শিল্পীর মধ্যে এক হণ। এছাড়াও ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি লাইভ পারফরমেন্স এর জন্য এস এস সি লাইভ অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হন।
অরিজিৎ সিং ২০১৫ সালে মোট সাতটি মিরছি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পান এবং ২০১৬ সালে ৪ টি মিরছি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়াও চারটি ফ্লিম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, একটি আইফা অ্যাওয়ার্ড, একটি স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ড, দুটি জী সিনে অ্যাওয়ার্ড এবং দুটি স্ক্রীন অ্যাওয়ার্ড পয়েছেন।
২০১৬ সালে ফোর্বস ভারত পত্রিকায়
১০০ সেলিব্রিটির তালিকায় তিনি 15 তম স্থানে পান।
১০১৮ সালে অরিজিৎ সিং বাংলার সবচেয়ে বড় সন্মান সেরা বেঙ্গলি অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হন।
অরিজিৎ সিং আয়াত, হামারি অধুরি কাহানি, এ দিল হে মুসলিম, চুনার, চাননা মেরেয়া, বলনা, নাসেসি চার গায়ী, সানাম রে, সোচ না সাকে, গেরুয়া, সমজায়ান, মুস্কুরানে, রকে না রকে নাইনা, সুরাজ ডুবা হে, জালিমা, এ বাতান এবং আরও অনেক গানেই তিনি পুরষ্কার পেয়েছেন।
-প্রীতম কুমার
এত সবই আমার গুরুদেব অরিজিৎ সিং এর দান
কন্ঠে আমার সুর না থাক না থাক হাতে গিটার
একদিন কাছে পৌঁছে যাব তার এটাই করি প্রেয়ার
আমার প্রিয় শিল্পী জানি হেমন্ত, কিশোর, মান্না
কেন জানি না নতুন প্রজন্ম তাঁদের কে আর চাননা
স্বর্ণ কণ্ঠা শিল্পী তাঁরা একসময় করেছেন রাজ
সুর সাম্রাজ্যের শাসক হলেন আমার গুরুদেব আজ
গুরুকুল ফেম এ এলিমিনেট হয়েও, হাল ছাড়েননি যিনি
সুর সম্রাট হলেন আজ আমার গুরুদেব তিনি
গান এর কথায় কণ্ঠ তার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে
গভীর দুঃখ কষ্ট মাঝেও থাকেন হৃদয় জুড়ে
কন্ঠে কি সুর তাঁর নয়নে কি তাঁর বাণী
এক থেকে একশ তাকে অনুসরণ করে জানি
লম্বা লম্বা চুলগুলো তার আদর করে ঘেঁটে দেয় এলোমেলো হাওয়া
হাসিতে তাঁর আছে এক ভুবন ভুলানো মায়া
তেলেগু ফিল্ম এ গানের পর বলিউড এ আসনে
আশিকি টু এর গানের জন্য মানুষ ভালোবাসেন
বাংলায় গান করেছেন তিনি আরো কত ভাষায়
১০০ বছর আরো করবেন থাকবো আমি আশায়
আঁকতে শুধুই পারি আমি গুরুদেবের ছবি
গুরুদেবের কন্ঠ সুরেই চলছে সব মুভি
তিন বছরে হারমোনিয়াম শেখেন দুই মাসে
উন্নতির চরম শিখরে আজ সংগীত কে ভালোবেসে
একটা সময় ছিল যখন ছিলেন কিশোর কুমার
পৃথিবী জুড়ে আজকে শুধুই গুরুদেব আছেন আমার
সেরা বাঙালি আওয়ার্ড প্রাপ্ত ১৮ তে যিনি
প্রার্থনা করি ২০ তে গিয়ে পাবেন গ্রামি তিনি
সংগীত জগতে অস্কার পেয়েছেন রেসুল গুলজার রহমান
২০২২ শে পাবেন জানি গুরুদেব এ সম্মান
গুরুদেবই প্রথম প্রেম গুরুদেবই শেষ
আমিও জয় করব একদিন গান দিয়ে এই দেশ
মাটিতে পা থাকলেও তাঁর সুর দেয় হৃদয় কে দোলা
চোখ খুললে তিনি আবার চোখ বন্ধ করলেও কেন জানিনা তাঁকে যায় না ভোলা
প্রশংসার ঊর্ধ্বে তিনি নেই কোন ভাষা
তাঁর জন্য আছে শুধু হৃদয়ে ভালোবাসা
পৃথিবী জুড়ে আজকে শুধু শোনা যায় তাঁর নাম
গুরুদেবের চরণে জানাই শতকোটি প্রণাম।
জীবন বদলে দেওয়া কিছু অনুপ্রেরণামূলক গল্পো
Arijit Singh |
অরিজিৎ সিং এর জীবনী
ভারতের সমস্ত বিখ্যাত গায়কদের তালিকায় শীর্ষে আছেন সুর সম্রাট অরিজিৎ সিং। শুধু ভারত বর্ষ নয় তিনি এখন পৃথিবীর বুকে রাজ করছেন। সুর সাম্রাজ্যের সম্রাট বা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কিং যদি বলা হয় তিনি হলেন অরিজিৎ সিং। অরিজিৎ সিং এর কন্ঠের প্রশংসা যতই করি কম হয়ে যায়। আসলে তিনি সমস্ত প্রশংসার ঊর্ধ্বে।
জন্মস্থান ও পরিবার
অরিজিৎ সিং ২৫ এপ্রিল ১৯৮৭ সালে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ জেলার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পাঞ্জাবি এবং মা বাঙালি। যেহেতু সংগীত তার রক্ত ছিল তাই তিনি ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত শেখা শুরু করে দেন। যখন তার বয়স ৩ বছর তার মা যখন হারমোনিয়াম নিয়ে রিয়াজ করতে বসতেন তখন তিনি হারমোনিয়াম বাজানোর জন্য বলতেন। তিনি তিন বছর বয়সে মাত্র দু মাসে হারমোনিয়ামে সা রে গা মা পা তুলে ফেলেন। তার মামিমা তাকে ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল মিউজিক শিখিয়েছিলেন এবং তার দিদিমা তাকে কিভাবে গান করতে হয় শিখিয়েছিলেন। তার মামা তবলা তবলা বাদক। আর তার মা গান এবং তবলা দুই ই পারেন।বর্তমান বাসস্থান
অরিজিৎ সিং এখন নিজের পরিবারের সঙ্গে আরব সাগর এর তীরে অর্থাৎ মুম্বাইয়ের অন্ধেরিতে বসবাস করেন। কিন্তু তিনি প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় নিজের জন্মভূমি জিয়াগঞ্জ যান এবং চারদিন ওখানে থাকেন।পড়াশোনা
তিনি রাজা বিজয় হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে শ্রীপত সিং কলেজ এবং কল্যাণী ইউনিভার্সিটি থেকে পড়া শেষ করেন।প্রফেশনাল ট্রেনিং
তিনি পড়াশোনার ক্ষেত্রে একজন ভাল ছাত্র হলেও সঙ্গীতের প্রতি তার অধীর আগ্রহ দেখে তার পিতা মাতা তাকে প্রফেসনাল সংগীতের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করলেন।তিনি ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল শেখেন রাজেন্দ্র প্রসাদ হাজারী এবং তবলা শেখেন ধীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারীর কাছ থেকে। বীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারীর কাছ থেকে রবীন্দ্র সংগীত এবং পপ মিউজিক শেখেন।
তিনি তিন বছর বয়স থেকে হাজারী ভাইদের কাছে ট্রেনিং নেওয়া শুরু করেন। ৯ বছর বয়সে তিনি সরকার দ্বারা একটি স্কলারশিপ পান ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল শেখার জন্য। তিনি বড় হয়ে মোজার্ট, বিথোভেন
এবং বাংলা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সোনা শুরু করলেন।
প্রেরণা (আইডল)
ওনার প্রেরণা হলেন বড়ে গোলাম আলি খান, উস্তাদ রাশিদ খান, জাকির হোসেন এবং আনন্দ চ্যাটার্জী। তিনি কিশোর কুমারের গান শুনতে এবং গাইতে খুব পছন্দ করেন। এছাড়াও তিনি হেমন্ত কুমার এবং মান্না দের গান পছন্দ করেন।যেই বাদ্যযন্ত্র গুলি বাজান
তিনি তবলা, গিটার, হারমোনিয়াম, পিয়ানো এবং আরো অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে থাকেন।গানের পাশাপাশি আর যা করে থাকেন
তিনি যেমন খুব ভালো গান করেন এর পাশাপাশি তিনি
সঙ্গীত সুরকার, সঙ্গীত প্রোগ্রামার, সঙ্গীত প্রযোজক, রেকর্ড প্রযোজক, চলচ্চিত্র পরিচালক
,লাইভ পারফরম্যান্স করে থাকেন।
বিবাহ এবং ছেলে মেয়ে
একটা রিয়ালিটি শো তে তার এক প্রতিযোগীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তিনি তার ছোটবেলার বান্ধবী কোয়েল রায়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও কোয়েল এর আগে একবার বিবাহ হয়েছিল এবং আগের বিবাহের আগের বিবাহের দুই সন্তান আছে। এরা দুজনেই অরিজিতের খুব কাছের।রিয়ালিটি শো
আরিজিত সিং ২০০৫ সালে গুরুকুল ফেম নামক একটি রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি সমস্ত দর্শক এবং বিচারকদের মন জয় করে ফেলেন। কিন্তু এই শো এর পঞ্চম পর্যায়ে গিয়ে তিনি দর্শকদের থেকে কম ভোট পাওয়ায় পরের রাউন্ডে পৌঁছাতে পারেননি এবং মঞ্চ থেকে বিদায় নেন। এর কারণে তিনি নিরাশ হননি চেষ্টা করে গেছেন এবং পরবর্তীকালে তিনি ১০ কা ১০ লে গায়া দিল নামক একটি রিয়েলিটি শো তে বিজয়ী হন। এই তো তে জেতা টাকা দিয়ে তিনি মুম্বাইয়ের একটি রেকর্ডিং স্টুডিও তৈরি করেন। তখন তিনি মিউজিক প্রডিউস এবং কম্পোজ করতে বেশি পছন্দ করতেন।বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক
তিনি বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক যেমন শঙ্কর-ইশান-লয়, ভিশাল-শেখর, মিঠুন, মন্টি শর্মা এবং প্রীতম সঙ্গে তিনি কাজ করতেন। তিনি প্রীতম এর সঙ্গে বিশেষ ভাবে কাজ করতেন। তখন তিনি নিজেকে একজন গায়ক হিসাবে নয় বরং একজন মিউজিক প্রোগ্রামার হিসাবে দেখতেন।সংগীত জীবনের শুরু
২০১০ সালে তার সংগীত জীবনের শুরু হয় প্রীতম চক্রবর্তীর সঙ্গে। তখন তিনি প্রীতমের সঙ্গে তিনটি ফিল্মে কাজ করেন, সেগুলি হল - গোলমাল ৩, একশন রিপ্লাই এবং ক্রুক। অরিজিৎ সিং ২০১০ সালে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গানের মাধ্যমে নিজের সংগীত জীবনের শুরু করেন কেডি সিনেমার দ্বারা। এই সিনেমায় তিনি নিভেনা নিভেনা নামক একটি গানে নিজের কণ্ঠ দেন। এই গানটি রচনা করেন সন্দীপ চৌতা।২০১১ সালে তিনি বলিউডে পদার্পণ করেন মিঠুনের রচিত 'মার্ডার টু' সিনেমার 'ফির মহব্বত কারনে চালা হে তু' গানের মাধ্যমে। গানটি রেকর্ডিং করা হয় ২০০৯ সালে এবং ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়। এই বছরে 2012 সালে মুক্তি পাওয়া এজেন্ট বিনোদ সিনেমার 'রাবটা' গানটির জন্য যখন তিনি কাজ করছিলেন, তখন প্রখ্যাত মিউজিসিয়ান প্রীতম চক্রবর্তী অরিজিৎ কে বলেছিলেন তুমি বেশ ভালো গান করো। ওই বছরই অরিজিতের গান শোনার পর প্রীতম তার তিনটি সিনেমা প্লেয়ারস ককটেল এবং বারফি তে গান গাওয়ার জন্য বলেন। তিনি চিরন্তন ভাট দ্বারা পরিচালিত ১৯২০ এভিল রিটার্ন নামক সিনেমায় 'উস্কা হি বানা' গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। বিশাল শেখর দ্বারা পরিচালিত 'সাগাই' নামক সিনেমার জন্য 'দুয়া' নামক গানটি গায়েন।
এরপর অরিজিত প্রীতমের সঙ্গে কাজ করতে থাকলেন। তিনি দিল্লি ওয়ালি গালফ্রেন্ড, ইলাহী, ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি সিনেমা থেকে কাবিরা এবং বালাম পিচকারি গানটিতে কণ্ঠ দেন। এছাড়াও ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো সিনেমার মে রাঙ্গ সারবাতো কা গানটিতে কণ্ঠ দেন। এই গানটি প্রীতম এর দ্বারা রচিত। তিনি আর রাজকুমার সিনেমার জন্য ধোকা ধারী গানটিতে কণ্ঠ দেন। এছাড়াও শাহরুখ খান অভিনীত চেন্নাই এক্সপ্রেস সিনেমার কাশ্মীর টু কন্যাকুমারী নামক গানটিতে কন্ঠ দেন। এটি বিশাল শেখর দ্বারা রচিত। এছাড়াও কাভি জো বাদল, হার কিসি কো, সেমি ক্লাসিক্যাল লাল ইশক গানগুলোতে কন্ঠ দেন।
যাদের কাছে গান একমাত্র আশা, গান জীবনের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা আর গান মনেই গিটার। তাই গিটার প্রেমীরা অবশ্যই গিটার প্রেমী কবিতাটা পাঠ করুন ভালো লাগবে।
যেসব ভাষা গুলিতে গান করেছেন
অরিজিৎ সিং এখনও পর্যন্ত মোট ৮ টি ভাষাতে গান করেছেন। যেগুলি হলো-হিন্দি গান
এছাড়াও মাস্ত মাগান, হে দিল ইয়ে মেরা, আজ ফির তুমপে, হামদর্দ, জিয়া, মুসকুরানে কি, মানবা লাগে, আগার তুম সাথ হো, সোচ না সাকে, সুরাজ ডুবা হে, বাতে ইয়ে কাভি না, খামোশিয়া, হামারি আধুরি কাহানি, বারিশ, বাতোকো তেরি, কেয়া পাতা,দিওয়ানা তেরা, শ্যামকে সায়ে, চল ওয়াহা জাতে হে, জানম জানম, গেরুয়া, টুকুর টুকুর, ইয়ে ফিতুর মেরা, সইয়ান, সচ না সাকে, সানাম রে, লো মান লিয়া, রাজ আখে, বল না, ইয়াদ হে না, এ দিল হে মুশকিল, চান্না মেরেয়া, নেয়না,জালিমা, নাশে সি চাড় গায়ি, রোকে না রোকে নয়না, ফির ভি তুমকো চাহুঙ্গা, দাই রে, মে তেরা বয়ফ্রেন্ড, দিল উল্লু কা পাঠা, গালতি সে মিসটেক, আজ সে তেরি, তেরা ইয়ার হু মে। এছাড়াও তিনি আরো অনেক গানে নিজের কণ্ঠ দিয়েছেন।গুজরাটি গান
হিন্দির পাশাপাশি তিনি গুজরাটি সিনেমা রং সাইড রাজু এর সাত রংগি রে গানটিতে কণ্ঠ দেন।মারাঠি গান
শুধু হিন্দি বা গুজরাটি নয় তিনি মারাঠি ভাষা একটি গান করেন। তিনি মারাঠি সিনেমা কাটিয়ার কলজাত গুসালি এর ইয়ার ইলাহি নামক কাওয়ালীতে কন্ঠ দেন এবং এই সিনেমার আর একটি গান ভোলা ভান্ডারী গানটিতে কণ্ঠ দেন।তেলুগু গান
নেভে না নেভে না, কৃষ্ণুদি ভারাসুলান্থা,আদি এন্টি অকাসারি, এদু ভাদু এভাদো লেদু, দের তাক চলে,ও করিকি ও কারাম, কানুলানু তাকে, না প্রণমা, মানসী পেডাভিনা, রা রা রাউডি, আ সীতাদেবী নাভভুলা, নাচেহিতে ইয়ে পানাইনা, হাই হাই, রানা, হি ইজ মি. মসাগাদু, নিঙ্গী নীদেরা, এভরি রপো,সুর্যুদনে চুসদ্ধামা, নুভভু তদু উন্টে।তামিল
অরিজিৎ সিং-এর গাওয়া দুটি বিখ্যাত তামিল গান হলনীয়ে, নান উন
অসমীয়া
অরিজিৎ সিং অসমীয়া তে একটি গান করেছেন। যেটি হলগুমুঠা
কানাডা
অরিজিৎ সিং-এর গাওয়া একটি কানাডা গান হল-মৌন ঠালিথে
বাংলা গান
এছাড়াও তিনি অসংখ্য বাংলা গান করেছেন সেগুলি হলোআমাদের সূর্য মেরুন, এ শুধু খেলা নয়, গোলেমালে, বোঝেনা সে বোঝেনা, নারে না, সাজনা, মন বাওরে, দিনক্ষণ মাপা আছে, মনে পড়লে, ভয়, দেখাশোনা, চুপিচাপি, ঘর আজা, থেমে যায়, মন মাঝিরে, ইচ্ছে যত, রোশনি এলো, ঘুম পাড়ানির গান, কলেজ সং, কি করে তোকে বলবো, বেচে থেকে লাভ কি বল, বালির শহর, দিল্লী, ও প্রিয়া রে প্রিয়া, চল চল চল, চাঁদের পাহাড়, ওরে মন উদাসী, সাধের নাইটি, একলা একা মন, মন বোঝেনা, ও ফকিরা, কেটে গেছে দিন, অপুর পায়ের ছাপ, ওরে মনওয়া রে, এই ভালো এই খারাপ, পিয়া বিনা, খেলা শেষ, পারবো না আমি ছাড়তে তোকে, আসো না, বোবা রাজকুমার, সারাটা দিন, আমি তোমারি কাছে রাখবো, আমি আছি, আসাদোমা সদগাময়, কিছু কিছু কথা, মায়ার জীবন নাকি, কেন, কে তুই বল, চিনে ফেলেছি রাস্তাঘাট, রং নাম্বার, ঠিকানা লেখা নাই, তোর এক কথায়,পারবো না, আমি রাজি, এগিয়ে দে, ইমোশনাল সাইয়া,শুধু তোমারই জন্য, মনেরি মাঝে যেন, তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম। এছাড়াও তিনি 'তোমায় আমায়' নামক একটি বাংলা সিরিয়ালের টাইটেল সংগীতটিতে কণ্ঠ দেন এবং সৌরভ গাঙ্গুলি দ্বারা পরিচালিত বাংলার সবচেয়ে বড় কুইজ শো 'দাদাগিরি' এর টাইটেল সংগীতটিও উনিই গায়েন।
একটি গানে নটি আওয়ার্ড
তিনি আশিকি টু সিনেমার তুম হি হো গানটির দ্বারা মানুষের মন জয় করে নেন। এই গানটির জন্য তিনি দশটি অ্যাওয়ার্ড এর জন্য নমিনেটেড হন এবং নটি আওয়ার্ড পান ২০১৩ সালে।আর যেই গানগুলোতে অ্যাওয়ার্ড প্যায়েছে
২০১৯ পর্যন্ত মোট ১৫৪ টি অ্যাওয়ার্ড এর জন্য নমিনেটেড (মনোনীত) হয়েছেন এবং ৫৪ টি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।২০১৬ তে অরিজিৎ সিং সবচেয়ে বেশি লাইভ পারফরমেন্স করার জন্য উইস্ক্রাফট হনৌর আওয়ার্ড পান এবং এস এস সি এরিনার মধ্যে প্রযোজ্য বিশ্বের সর্বাধিক 10 শিল্পীর মধ্যে এক হণ। এছাড়াও ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি লাইভ পারফরমেন্স এর জন্য এস এস সি লাইভ অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হন।
অরিজিৎ সিং ২০১৫ সালে মোট সাতটি মিরছি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পান এবং ২০১৬ সালে ৪ টি মিরছি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়াও চারটি ফ্লিম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, একটি আইফা অ্যাওয়ার্ড, একটি স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ড, দুটি জী সিনে অ্যাওয়ার্ড এবং দুটি স্ক্রীন অ্যাওয়ার্ড পয়েছেন।
২০১৬ সালে ফোর্বস ভারত পত্রিকায়
১০০ সেলিব্রিটির তালিকায় তিনি 15 তম স্থানে পান।
১০১৮ সালে অরিজিৎ সিং বাংলার সবচেয়ে বড় সন্মান সেরা বেঙ্গলি অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হন।
অরিজিৎ সিং আয়াত, হামারি অধুরি কাহানি, এ দিল হে মুসলিম, চুনার, চাননা মেরেয়া, বলনা, নাসেসি চার গায়ী, সানাম রে, সোচ না সাকে, গেরুয়া, সমজায়ান, মুস্কুরানে, রকে না রকে নাইনা, সুরাজ ডুবা হে, জালিমা, এ বাতান এবং আরও অনেক গানেই তিনি পুরষ্কার পেয়েছেন।
মানবিক কাজকর্ম
অরিজিৎ সিং একটি এনজিও যার মাধ্যমে তিনি দারিদ্র্য মানুষদের (বিপিএল) জন্য কাজ করেন। তার এনজিও রক্তের ব্যাঙ্ক ক্যাম্পের মতো কার্যকলাপ এর অধীনে (সমস্ত রক্তের রেকর্ড এবং রেকর্ডের সাথে সাথে যোগাযোগ করা), এছাড়াও বস্ত্র বিতরণ, বই, স্টেশনারি দিয়ে থাকেন এবং দারিদ্র্যবিরোধী শিশুদের জন্য নানান কর্যোক্রম করে থাকেন।-প্রীতম কুমার
No comments:
Post a Comment
যদি কোনো ব্যক্তি নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কবিতা লেখাতে চান তাহলে আমাকে কমেন্ট করে বলুন আমি আমার সার্থ অনুযায়ী আপনার হৃদয়স্পর্শী আবেগানুভূতি সম্মৃত কবিতা লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
ব্লগার এ নতুন এসেছি আপনাদের বন্ধু PK
ভালো লাগলে কবিতা আমার
শেয়ার এবং কমেন্ট অবশ্যই করবেন লিখে।
আমার লেখা অন্যান্য কবিতাগুলি পরবেন আশা করছি আপনার খুব ভালো লাগবে।